করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪০ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ লাখ ৬০ হাজার। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৬১ লাখের বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ২৬৩ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ১৬৬ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনো বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৫২ লাখ ৮৩ হাজার ৫০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ছয় লাখ ২৬ হাজার ৬৫৮ জন। আর সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৬ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন কোটি ১৩ লাখ ৩১ হাজার ১৪৫ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ২০ হাজার ৩৮ জন। আর এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি চার লাখ ৯৫ হাজার ৩৫২ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। তবে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে দেশটি। সেখানে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৮ হাজার ৪২০ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৪৪৩ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার ৪৬২ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও ইতালি।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৬ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন হয়েছেন ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৮৫১ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন নয় লাখ ৭৫ হাজার ৬১৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ভোরের পাতা/ই