শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: কেনিয়ায় হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০    বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী    ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের    ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে    ইরানে পাল্টা হামলা করল ইসরায়েল    ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্র    স্বর্ণের দাম ফের বাড়ল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিং আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১, ৩:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং মারা গেছেন।

গত শুক্রবার (১৬ জুলাই) তলপেটে সার্জারি চলাকালে লন্ডনে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইস্টার্ন লিংকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে সায়মন ড্রিং দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এ ছাড়া বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। 

বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। 



১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় দুইশ বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয় যাতে গণহত্যার কোনও খবর সংগ্রহ করতে না পারে বিশ্ব গণমাধ্যম। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। পাকিস্তানি সামরিক আইন না মেনে তিনি হোটেলে লুকিয়ে পড়েন। শ্বাসরুদ্ধকর ৩২ ঘণ্টা সময় কাটে হোটেলের লবি, ছাদ, বার, কিচেনের মত জায়গায়। পরবর্তীতে তার তথ্য থেকেই বিশ্ব জানতে পারে গণহত্যার বাস্তব চিত্র। ২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ঘুরে দেখেন।

১৯৭১ এর ৩০ মার্চ লন্ডনে ফিরে যেতে বাধ্য হলেও আবারও ফিরে আসেন বন্ধুদেশে, সাংবাদিকতার স্বপ্ন নিয়ে। গড়ে তোলেন দেশের প্রথম আধুনিক বেসরকারি টিভি একুশে টেলিভিশন। ২০০২ সালে সে সময়ের সরকার তাকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করে। এরপর আবার ২০১৩ সালে বাংলাদেশে আসেন সায়মন। বার বার এই বন্ধু ফিরে এসেছেন নানা স্বপ্ন বুনতে। মানসম্মত ও পেশাদার সাংবাদিক, কলাকুশলীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তৈরি করেন অনেক নাম করা সংবাদকর্মী।

সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে।

ভোরের পাতা/ই

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  বাংলাদেশ   সায়মন ড্রিং  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]