বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম: বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর    রায়পুরের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চান অধ্যক্ষ মামুন    বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন    দেশে দীর্ঘ তাপপ্রবাহে রেকর্ড , আরও কতদিন থাকবে জানালো অধিদপ্তর    প্রশ্ন ফাঁস চক্র, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫    কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস     ঢাকায় ভিসা সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিলের: রাষ্ট্রদূত   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সমৃদ্ধির বাজেট নিয়ে কেউ আন্দোলন করে না
#জনসাধারণ সঠিকভাবে ট্যাক্স দিলে এবারের বাজেটও সার্থক হবে: ড. জাকারিয়া মিয়া। #অর্থনীতির চাকা শুধু শহর নয়, গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে: ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। #এবারের বাজেট ঐতিহাসিক ও জনকল্যাণমুখী: ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ জুন, ২০২১, ১১:০৭ পিএম আপডেট: ০৯.০৬.২০২১ ১২:১৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাঙলার প্রথম বাজেট ৭৮৬ কোটি টাকার আকার বেড়ে এবার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাজেট সম্বন্ধে আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো- সম্পদের পুনর্বণ্টন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আয়-ব্যয় বাড়ানোর মতো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সুতরাং অর্থনীতির আঁকার যেহেতু বেড়েছে বাজেটের আঁকারও বেড়েছে। এবারের বাজেট ঐতিহাসিক বাজেট, ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে এই বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে যেমন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক বাজেট দেওয়া হয়েছে। 



দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৩৬৪তম পর্বে মঙ্গলবার আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (নীলদল) সভাপতি, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।

অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন,  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এক দশক ধরে, পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের অর্থনীতির অভূতপূর্ব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বেশিরভাগ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এমডিজির আওতায় বেশিরভাগ সামাজিক সূচকের লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশ প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর এ কারণেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন প্রায়শই এই খাতে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের বিগত বাজেটসমূহ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, যখন আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় ছিল তখনই বাজেটের আকার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন মাইলফলক স্পর্শ করছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার ৪টি বাজেট পেশ করে। তৃতীয় বাজেটেই ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সে সময় সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল ১ হাজার ৫৪৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশের অধিকাংশ অর্জনই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে। কৃষি-শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, অর্থনীতি, শিল্পায়ন, বিদ্যুৎ সংকট দূরীকরণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদসহ প্রায় সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। খাদ্য-ঘাটতির দেশ থেকে আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে রফতানির সক্ষমতাও অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ফলে ব্যাপকহারে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতাসহ সকল প্রকার ভাতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে।

ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাঙলার প্রথম বাজেট ৭৮৬ কোটি টাকার আকার বেড়ে এবার বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাজেট সম্বন্ধে আমরা যেটা বুঝি সেটা হলো সম্পদের পুনর্বণ্টন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আয়-ব্যয় বাড়ানোর মতো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সুতরাং অর্থনীতির আঁকার যেহেতু বেড়েছে বাজেটের আঁকারও বেড়েছে। একটা দেশের অর্থনৈতিকভাবে কতটুকু এগিয়ে যাচ্ছে সেটা দেশের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে বিশ্লেষণ করলেই বুঝা যাবে। আমরা যদি ঢাকা-চট্টগ্রাম শহর দেখি সেখানে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এই সব রেস্টুরেন্ট ব্যবসা যদি লস প্রজেক্ট হতো তাহলে এতো রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠতো না। এখন অনেকেই বলতে পারে এইগুলো যেহেতু শহর তাহলে এখানেতো এইগুলো গড়ে উঠবেই, কিন্তু আমরা যদি একটু গ্রামের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো যে যে রাস্তাগুলোর পাশে আগে দোকানপাট ছিল না, সেখানে এখন রাস্তার দুই পাশে দোকান পাট, ইন্টারনেট কানেকশন এমন কি আকাশের মতো ডিজিটাল টিভি চ্যানেলগুলোও সেখানে চলে। সুতরাং অর্থনীতির চাকা শুধু শহর নয় গ্রাম পর্যন্ত ছড়ে গিয়েছে। মহামারিকালের দ্বিতীয় বাজেটে গ্রামের উন্নয়নে ৪১ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম  মোস্তফা কামাল। এই অংক বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৩৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সুতরাং বর্তমান মানুষের যে আচরণ, মানুষের যে বায় করার ক্ষমতা সেটা কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি এবং আমরা একটি সমৃদ্ধশালীর দিকে ছুটে যাচ্ছি। একজন রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে রাস্তার পাশে যারা পেঁয়াজু বিক্রি করে তাদের আয়-রোজকারও আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের অবদান রয়েছে এই বাজেট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্র নায়ক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে দূরদর্শী ও চিন্তা-চেতনা সেটাও বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধিশালী দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। 

ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ বলেন, এবারের বাজেট ঐতিহাসিক বাজেট, ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে এই বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে যেমন দেশ স্বাধীন হয়েছিল ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক বাজেট দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারিকালে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা বিশাল বাজেট, আমাদের স্বপ্নের বাজেট। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও সৎ সাহসিকতার অন্যতম একটি নিদর্শন বলা যায় এই বাজেট। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মহামারির কারণে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। অগণিত মানুষের প্রাণহানি ছাড়াও এই মহামারি মানুষের জীবন-জীবিকায় চরম আঘাত হেনেছে। লাখ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। হারিয়েছেন তাদের জীবিকার সংস্থান। ফলে তারা অনেকে কষ্টের মাঝে জীবন-যাপন করছেন। বৈশ্বিক এমন অবস্থায় ৫০ বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন অর্থনীতির সক্ষমতা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক গতি একটু মন্থর হলেও এখনও এশিয়ার যেকোনো দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই বাজেটের আকারও বাড়বে। ১৯৭১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে লক্ষণীয় যে, যখনই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে সেসময় বাজেটের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফটি ছিল অনেক বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৮তম এবং একটানা ১৩তম বাজেট। যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে একটি অনন্য রেকর্ড। ৫০ বছরে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ৭৬৬গুণ। প্রথম বাজেটের পর এক হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩ বছর। ১০ হাজার কোটি হতে লেগেছে ১৪ বছর। ২১ বছর পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এক লাখ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। আর ১০ বছরের মধ্যেই বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকার সীমা অতিক্রম করে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের ৫০তম বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা। টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের বাজেট নিত্যনতুন ইতিহাস তৈরি করে যাচ্ছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]