রবিবার (৯ মে) রাজধানীর আইডিইবি ভবনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ‘মুজিববর্ষ ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকালও ভারতে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল, ভারত এখন করোনার তাণ্ডবে লন্ডভন্ড। অক্সিজেন উৎপাদনে বিখ্যাত দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে আজ অক্সিজেনের চরম সঙ্কট। সেখানে হাহাকার লেগেই আছে, ফুটপাতও এখন ভারতের শ্মশানঘাটে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আবারও তৃতীয় ঢেউয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারত থেকে বিপজ্জনক বার্তা পাচ্ছে বাংলাদেশ।
কাদের বলেন, দেশের জনগণ অতীতে অনেক প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। চলমান করোনা দুর্যোগও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।
এখনই সবাইকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করে এই প্রাণঘাতী করোনাকে প্রতিরোধ করাই এখন একমাত্র অবলম্বন বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক অভিন্ন শত্রু করোনাকে বাদ দিয়ে এখনো দেশে রাজনীতির ব্লেমগেইম চলমান উল্লেখ করে বলেন, যত দোষ কেবল নন্দ ঘোষ শেখ হাসিনা ও তার সরকারের। অথচ বাংলাদেশ এখনো তুলনামূলকভাবে ভালো আছে শেখ হাসিনার মতো সাহসী, দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বের কারণে।
তিনি আরও বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করে শেখ হাসিনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয়েছেন, এ কথা তার নিন্দুকেরাও স্বীকার করেন।