গত ১৭ এপ্রিল সকালে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অনেক শ্রমিক। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় দুটি মামলা হয়।
এ ঘটনায় প্রথমে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি রিট করে। সেই সঙ্গে পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুলিশের গুলিতে ছয় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত, ক্ষতিপূরণের নির্দেশনাসহ বিভিন্ন দাবিতে আরেকটি রিট করা হয়।
গত রোববার (২ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রিট দুটি শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে আদেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে।
পরে রিট করা পাঁচটি সংগঠন হলো- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নিজেরা করি, সেফটি অ্যান্ড রাইটস এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। গত ২৮ এপ্রিল রিটের বিষয়টি জানিয়েছিলেন বেলার প্রধান নির্বাহী আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তারও আগে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিল।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবেদনে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা এবং শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
এছাড়া নিহতদের পরিবারকে তিন কোটি টাকা করে এবং আহতদের দুই কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয়।
এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা কিংবা আদালতের মতামত অনুসারে যেকোনো পরিমাণ টাকা দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল এ বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন একটি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
ভোরের পাতা/ই