প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১, ৮:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক শুধু টাঙ্গাইলের নয়, একজন জাতীয় নেতা। কিন্তু নিজ জেলায় তার অনুসারীরা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান রনির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে আংতকে রয়েছেন। এমনকি মেহেদী হাসান রনিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী এলাকায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেও কেউ কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে সার্বিক রাজনীতি নিয়ে মেহেদী হাসান রনি লিখেন, একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমাদের নেতা সবসময় এলিটদের খুব কদর করেন।এলাকার চেহারা খারাপ নেতাকর্মী ও সাধারণ পোশাক পরিহিত গণমানুষের প্রতি তার উদাসীন আচরণ। তিনি নিজেও প্রায় সময় স্যুট-টাই পরিধান করেন আবার স্যুট-টাই পরিহিত লোকজন দেখলে দাঁড়িয়ে যান, এমন আচরণ কিন্তু সাধারণ মানুষের বেলায় করেন না। রাজপথের পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের গায়ে দামি পোশাক ও চেহারায় এসির বাতাসের মসৃণ ভাব থাকে না। প্রায় সময়ই তিনি অসহায় মানুষের প্রতি রেগেমেগে অগ্নিমূর্তি ধারন করেন আবার সুন্দরী কোন নারীরা দেখা করতে আসলে বরফ হয়ে যান। তিনি তার নির্দিষ্ট কিছু ক্যাশিয়ার কর্মচারী ও আত্বীয়দের ছাড়া নূরানীর আলো দেখতে পারেন না। আসলেই কি তার নুরানির আলো বা জ্বলজ্বল করার ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নাকি নষ্ট হওয়ায় সে আর আলো দিবেন না। এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অসুস্থ হলে তাদেরকে দেখতেও যান না আবার মারা গেলে জানাযায় বা কবর দিতেও যায় না। তিনি এতবেশি শিক্ষিত পন্ডিত যে কোনকিছু নিয়ে তার কোন লেখা নেই এমনকি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এক লাইন লেখাও তার নেই এবং তার মুখস্থ এক ঘন্টার একই বক্তৃতা সবজায়গায় দিয়ে উপস্থিত শ্রোতাদের নির্যাতিত করেন। এমন নেতাকে কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা যারা তাকে কাছে থেকে দেখেছে তারা আর কেউ তাকে বিশ্বাস করে না।শুধু দলীয় ও সরকারি পদ-পদবীর জন্য কেউ কিছু বলতে পারেনা।
নিতান্তই আমজনতার দল বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের নেতা,এমপি, মন্ত্রী এমন হতে পারেন না। তার ভিতরে আওয়ামী বিদ্বেষমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ কেন এর কারণ খতিয়ে দেখতে হবে । যে দেশের মানুষের জন্য ও দলের জন্য বঙ্গবন্ধু একযুগের বেশি সময় জেলে থাকলেন এবং জীবন দিয়ে গেলেন,যে দলের জন্য তাজউদ্দীন আহমেদের মত নেতারা নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছেন সেই দলের নেতা এত বিলাসী,মুখোশধারী ও চরিত্রহীন হয় কি করে।আশাকরি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার জায়গা জননেত্রী শেখ হাসিনা শীগ্রই এদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটি দেয়ার পরই কৃষি মন্ত্রীর অনুসারী থেকে শুরু করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ সজীবসহ স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও ফোনে অথবা ফেসবুকে রনির বিরুদ্ধে বিষেদগার করতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, মেহেদী হাসান রনি তার স্ট্যাটাসের কোথাও কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের নাম নেননি। তারপরও স্বপ্রণোদিত হয়ে কৃষি মন্ত্রীর অনুসারীরা আতংকিত হয়ে মেধাবি ও তরুণ মেহেদী হাসান রনিকে নিয়ে নানা ধরণের বাজে কথা বলতে শুরু করেছে।