বুধবার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, ইউনাইটেড ন্যাশন্স রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সিতে (ইউএনআরডব্লিউএ) ১৫ কোটি ডলার মানবিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, লেবানন এবং জর্ডানে প্রায় ৫৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছে ইউএনআরডব্লিউএ।
এদিকে পুণরায় মানবিক সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে ২০১৮ সালে ওই সংস্থাটিকে ‘অবিশ্বাস্যভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ একটি সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট জানান, এই সংস্থাতে আর কোনো অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা দেয়া হবে না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিলিস্তিন।
ইউএনআরডব্লিউএ'র কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আমার আরও একবার আমাদের অংশীদার হিসেবে পাচ্ছি। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে সবচেয়ে অসহায় শরণার্থীদের জন্য গুরুতর সহায়তা এবং প্রতিদিন লাখ লাখ শরণার্থীকে শিক্ষা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের আমাদের লক্ষ্য পূরণে এই সহায়তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ব্লিংকেন বলেন, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অর্থনৈতিক এবং উন্নয়নে সাড়ে ৭ কোটি ডলার সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) কর্মসূচিতে আরও ১ কোটি ডলার সহায়তা দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে, ওয়াশিংটন ‘অত্যাবশ্যক সুরক্ষা সহায়তা’ চালু করবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলি দূত বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি তথাকথিত শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের এই সংস্থা বর্তমান কাঠামোয় থাকা উচিত নয়।’
ইসরায়েল বলছে, জাতিসংঘের সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলগুলো যে শিক্ষা দেয় তাতে ইহুদি রাষ্ট্র বিরোধিতাকে উসকে দেওয়া হয়।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ভিয়েনায় যে আলোচনা শুরু হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ অংশগ্রহণে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল।