তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমএইএ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। পরিচালক পদে ৩৫টি আসনের মধ্যে জায়ান্ট গ্রুপের ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ পেয়েছে ২৪টি। অন্যদিকে হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম সামসুদ্দিনের প্যানেল ‘ফোরাম’ পেয়েছে ১১টি। ফলে ফোরামের প্যানেল লিডার হিসেবে ফারুক হাসান সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে বিজিএমইএ’র আগামী পর্ষদের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে।
রোববার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ও বিজিএমইএ’র চট্টগ্রাম অফিসে বিরতিহীনভাবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টায় পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিজিএমইএ নির্বাচনী পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাত আনোয়ার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ফলাফল অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ী হয়েছেন মোট ২৪ জন। আর ফোরাম থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীরা হলেন- প্যানেল লিডার ফারুক হাসান, এস এম মান্নান কচি, আরশাদ জামাল দিপু, শহিদুল্লাহ আজিম, শিরিন সালাম ঔশি, আসিফ আশরাফ, মহিউদ্দিন রুবেল, তানভির আহমেদ, মো. খশরু চৌধুরী, আব্দুল্লাহিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, রাজিব চৌধুরী, মিরান আলী, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ইমরানুর রহমান, নাসির উদ্দীন, সাজ্জাদুর রহমান মৃধা শিপন।
ফোরামের বিজয়ীরা হলেন- ড. রুবানা হক, মাহমুদ হাসান খান বাবু, এম এ রহিম ফিরোজ, আসিফ ইব্রাহিম, ফয়সাল সামাদ, নাভিদুল হক, ভিদিয়া আমৃত খান, ইনামুল হক খান বাবলু, মিজানুর রহমান।
চট্টগ্রাম সম্মিলিত পরিষদের ছয়জন বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এম শফিকুল করিম খোকন, মো. হাসান জেকি, তানভির হাবিব, আহসানুল হক, রাকিবুল আলম চৌধুরী। ফোরামের বিজয়ী তিনজন হলেন- এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আব্দুস সালাম এবং মোহাম্মদ আতিক।
দিনভর ১০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। মোট ২৩১৪ ভোটের মধ্যে ঢাকায় ১৮৫৩ ও চট্টগ্রামে ৪৬১টি ভোট ছিল। এরমধ্যে ঢাকায় ১৬০৪টি এবং চট্টগ্রামে ৩৯২টি ভোট পড়েছে।