প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। টানা ছুটি শেষে আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে ছুটি ফের বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে ধরনের ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছুটির সাথে সমন্বয় করে ঈদের পর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হতে পারে। আজ করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির সাথে বৈঠকের পরে বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং তা আগামীকালের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এর আয়োজনে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে তিনি।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সবার নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বুধবার (২৪ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও সেদিন খোলা সম্ভব নয়। শবে বরাতের সরকারি ছুটি ২৯ মার্চের পরিবর্তে ৩০ মার্চ নির্ধারণ করার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এদিন খুলছে না।
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ৩০ মার্চ ছুটি ঘোষণা করে মাউশিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হবে।
ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে।
সেদিন তিনি বলেন, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সব ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে।