বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা    একনেকে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন    ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত    বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, তৃতীয় ঢাকা    কাতারের আমির ঢাকায় আসছেন এপ্রিলে    রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৪    যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
কান্না থামিয়ে হাসলেন ফাতিমা, যা বলেছিলেন রাসুল (সা.)
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ২১ মার্চ, ২০২১, ২:১১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

কিছু দিন যাবৎ বিশ্বনবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লাম অসুস্থ।  ওফাতের কয়েকদিন আগের ঘটনা। এমনই সময়ে বাবাকে দেখতে হাজির হয়েছেন মেয়ে ফাতিমা।  আসার পর বাবা ও মেয়ের মাঝে কিছু বিষয়ে কথপোকথন হয়।

কথপোকথনের এক পর্যায়ে হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা প্রথমে কেঁদে ফেললেন।  আবার কিছুক্ষণ পর হাসি দেন।  হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।  
 
ঘটনাস্থলে আয়েশা উপস্থিত থাকলেও তাদের মধ্যকার কোনো কথা তিনি শুনেননি।  হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হাসি ও কান্নার ঘটনা জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও হযরত ফাতেমা  তা বলেননি। 

হজরত ফাতেমা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকালের পর পুনরায় হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ করেন।  হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ফাতেমা পায়ে হেটে আগমন করে।  তার হাটা যেন প্রিয়নবীর হাটার মতোই।  তখন নবী (সা.) বলেন, ‘শুভাগমন হে আমার মেয়ে! অতঃপর নবী (সা.) তাঁকে তার ডান অথবা বাম পাশে বসিয়ে গোপনে কিছু কথা বললেন, (যা শুনে) ফাতেমা কেঁদে ফেলে। 

আমি তাকে বললাম কাঁদছ কেন?

এরপর প্রিয়নবী তার সঙ্গে গোপনে কিছু কথা বললেন (যা শুনে) ফাতেমা হেসে ফেলে। 

আমি বললাম, আজকের মতো (হজরত ফাতেমার) আনন্দ ও দুঃখ কোনো দিন দেখিনি। তাই প্রিয়নবি তাকে কি বললেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি।  তখন ফাতেমা বললেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গোপন রহস্য (এখন) প্রকাশ করব না।’ 

এরপর যখন প্রিয়নবী (সা.) এর ইন্তেকাল করলেন, তখন আমি ফাতেমাকে জিজ্ঞাসা করলে ফাতেমা বলেন, রাসুল (সা.) গোপনে আমাকে বলেন, ‘জিবরিল প্রতি বছর আমার নিকট কুরআন একবার করে পেশ করতেন।  আর এ বছর দুইবার পেশ করেছেন। 

আমার মনে হয়, মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এসেছে। আর আমার পরিবারের মধ্যে সর্বপ্রথম তুমিই আমার সঙ্গে মিলিত হবে। এ কথা শুনে আমি কান্না করি।



অতঃপর তিনি (বিশ্বনবি) বলেন, ‘আচ্ছা! তুমি এ কথায় সন্তুষ্ট নও যে, জান্নাতী নারী বা মুমিনা নারীদের সর্দারাণী হবে তুমি।  তখন আমি হাসি।’ (বুখারি ও মুসলিম)

যদিও হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ছিল বিশ্বনবির প্রিয়তম স্ত্রী; তথাপিও হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন বিশ্বনবির পরিবারের সদস্য (আহলে বাইত)।  তাঁর প্রতি বিশ্বনবির ভালবাসা ছিল অত্যাধিক।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবির ভালবাসার নমুনায় আমরাও আহলে বাইতকে ভালবাসবো। তাঁদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করব। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে আহলে বাইতকে ভালবাসার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

ভোরের পাতা/এএম

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


আরও সংবাদ   বিষয়:  বিশ্বনবী   রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলােইহি ওয়া সাল্লাম   হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা   হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]