শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিরোনাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫    মুক্তিযুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির    মৎস খাতে বাংলাদেশকে ১৭২ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে জাপান     আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হলেন আম্পায়ার সৈকত    জেনে নিন আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস    শুক্রবার নাগাদ আসতে পারে ভারতের পেঁয়াজ    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রাজকীয় সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটালেন মেগান
সীমানা পেরিয়ে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ০৯.০৩.২০২১ ২:২২ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ

রাজকীয় সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটালেন মেগান

রাজকীয় সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটালেন মেগান

রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া হ্যারি ও মেগান গত রোববার রাতে হাজির হয়েছিলেন সিবিএস টেলিভিশনে ওপরা উইনফ্রির সাক্ষাৎকারে।

এসময় তিনি রাজপরিবারের  বিরুদ্ধে  বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যাকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বোমা ফাটানোর সঙ্গে তুলনা করেছে। ওই সাক্ষাৎকারে মেগান রাজপরিবারের বধূ হিসেবে তার নানা উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় কৃষ্ণাঙ্গ মা আর শ্বেতাঙ্গ বাবার ঘরে জন্ম নেওয়া মেগান সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৮ সালে রাজপরিবারে বিয়ে হওয়ার আগে তিনি ছিলেন সাদাসিধে জীবনের মানুষ। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর অসহায়ত্বের বোধ তাকে এতটাই গ্রাস করেছিল, যে তিনি আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেন। সাহায্য চেয়েও যখন কাউকে পাশে পাননি, তখন নিজের ক্ষতি করার কথাও ভাবতে শুরু করেন।‘তারা চায়নি ও (সে সময় মেগানের অনাগত সন্তান) প্রিন্স বা প্রিন্সেস হোক, সে মেয়ে না ছেলে হবে তা না জেনেই। রীতি অনুযায়ী যা হওয়ার কথা তা না হওয়ায় ভবিষ্যতে সে নিরাপত্তাও পেত না। আমি যখন অন্তঃস্বত্ত্বা, আমার দিনগুলো একইরকম ছিল, বার বার ওই কথাগুলো ঘুরে ফিরে আসছিল- ‘তুমি নিরাপত্তা পাবে না, কোনো খেতাবও পাবে না।’ আর যখন ওর জন্ম হবে, ওর গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে সেসব নিয়ে তাদের আলাপ আর উদ্বেগও তো ছিলই।

ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কল বলেছেন, তার ছেলে আর্চির জন্ম হওয়ার আগে থেকেই তার গয়ের রঙ কতোটা কালো হবে তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবারে; আর কেন তাকে প্রিন্স খেতাব দেওয়া হয়নি, তার ব্যাখ্যা ওই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। এই সাক্ষাৎকার থেকে বর্ণবাদ থেকে ব্রিটিশ রাজকীয় ধ্যান ধারনা এখনও যে বের হতে পারেনি সেটিকে তুলে ধরেছেন মর্গান। রাজ পরিবারের কে বা কারা গায়ের রঙ নিয়ে ওই উদ্বেগের কথা বলেছিল, তা প্রকাশ করতে চাননি মেগান।

তিনি নিজেই সে সময় চুপ ছিলেন, না তাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল- এই প্রশ্নে মেগান বলেছেন- ‘পরেরটি’।সিবিএস টেলিভিশন ওই সাক্ষাৎকারের ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার প্রকাশ করেছিল কয়েকদিন আগেই। তখন থেকেই সবার আগ্রহ ছিল এই সাক্ষাৎকার নিয়ে।রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন শুরু করেছেন মেগান ও হ্যারি। রয়টার্স লিখেছে, এই সাক্ষাৎকার তাদের সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তোলার প্রেক্ষাপট তৈরি করল।হ্যারি বলেছেন, তিনি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়েছেন বোঝাপড়ার সঙ্কটের কারণে।

তাছাড়া তার ভয় ছিল, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবার না ঘটে। ১৯৯৭ সালে নিজের মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ঘটার দিকেই ইংগিত করেছেন হ্যারি। তিনি বলেছেন, নিজের দাদি, ব্রিটিশ রানিকে তিনি অন্ধকারে রাখতে চাননি, কারণ তাকে তিনি খুবই শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু বাবা প্রিন্স চার্লস তার ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।  ‘দাদির সঙ্গে আমার এ নিয়ে তিন দফা কথা হয়েছিল। আর বাবা ফোন ধরা বন্ধ করে দেওয়ার আগে তার সঙ্গেও দুই দফা কথা হয়েছে। পরে উনি আমাকে বলেছিলেন, আমি সব কথা তাকে লিখিতভাবে জানাতে পারি কি না।’হ্যারি-মেগানের সমালোচকরা বলেন, রাজপরিবারের দায়িত্বে যে নিষ্ঠা প্রয়োজন, তার বদলে তারা গুরুত্ব দিয়েছেন ‘গ্ল্যামারকে’।



অন্যদিকে তাদের সমর্থকদের ভাষায়, সেকেলে ব্রিটিশ ধ্যানধারণা আর বর্তমানের ধ্যান ধারনার কোনও পরিবর্তন হয়নি।  তারা  এখনও বর্ণবাদের চেতনা বহন করে চলেছে মেগানের প্রতি তাদের আচরণই তার প্রমাণ।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]