অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়: সারোয়ার আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৮ মার্চ, ২০২১, ২:৪৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় ছিলেন সারোয়ার আলম। ক্যাসিনোসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় অভিযান চালিয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন বাহবাও। করোনাকালীন সময়েও তিনি তার কাজ থেকে পিছপা হননি।
এছাড়া গত বছরের রমজান মাসে বেশ কয়েকটি ভেজালবিরোধী অভিযানও পরিচালনা করেন তিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কারণে নিয়মিত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সারোয়ার। এসব আলোচনার মধ্যেই গত বছরের নভেম্বরের দিকে তাকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি এখানেই কর্মরত আছেন।
চাকরি জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সোমবার রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সারোয়ার আলম।
তিনি লিখেছেন, ‘চাকরি জীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন তাদের বেশীরভাগই চাকরি জীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন। এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটাই অন্যায়!’
উল্লেখ্য, সারোয়ার আলম প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৪ সালে। ফার্মগেটে ওভার ব্রিজ বাদ দিয়ে যারা সড়কে রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন তাদের নামমাত্র জরিমানা করে সচেতন করেছিলেন তিনি। তার আলোচিত অভিযানের মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ফকিরাপুলে ক্যাসিনোতে অভিযান।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদে অভিযান চালান তিনি। এ সময় ১৪২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। উদ্ধার করা হয় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত অবৈধ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
এরপর গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর নিকেতনে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের অফিসে অভিযানে যায় র্যাব। সেখানেও ছিলেন সারোয়ার আলম। অভিযানে তার কার্যালয়ে তল্লাশি করে অবৈধভাবে উপার্জিত নগদ এক কোটি ৮০ লাখ, ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, বিদেশি ডলার, মদ ও অস্ত্র উদ্ধার করেন তিনি।
২০১৮ এবং ২০১৯ সালে হাসপাতালে অভিযান চালান সারোয়ার আলম। মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট (রাসায়নিক উপাদান) ব্যবহার ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অভিযোগে বেশ কয়েকটি বড় বড় হাসপাতালে অভিযান চালান তিনি। এর মধ্যে পান্থপথের বিআরবি হাসপাতাল, শমরিতা হাসপাতাল ও বাংলাদেশ স্পাইন হাসপাতালকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেন। নানা অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালকেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি।