প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ, ২০২১, ৭:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন লীফ ফার্মার বিশ্বজিৎ মন্ডল ও তাদের সহযোগী দালালদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব তহবিল থেকে উপকূলীয় প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের প্রণোদনা তালিকা প্রণয়নে অর্থের বিনিময়ে, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও প্রকৃত মৎস্য চাষীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে দূরনীতিবাজ মৎস্য কমকতা তুষার মজুমদারের অপসারণের ও দালালদের তদন্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকাল ৫ টায় প্রকৃত প্রান্তিক মৎস্য ও ঘের ব্যবসায়ীদের আয়োজনে আবাদচন্ডিপুর বাজারে কয়েক শতাধিক ঘের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবিদ হাসান।
মৎস্য চাষী হারুনার রসিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মৎস্য চাষী গাজী আশরাফুজ্জামান, সাবেক সেনা সদস্য রস্তুম আলী, আ: সালাম, ফজলুল হক ঘের ব্যবসায়ী আব্দুল সাত্তার মোড়ল, আব্দুল আলিম, মোমিনুর রহমান প্রমুখ।
সালাম বলেন, ইউনিয়ন লীফ ফার্মার বিশ্বজিৎ মন্ডল বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর ভাই। এই বিশ্বজিৎ মৎস্য চাষী ও ঘের ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি করেছে। তার আত্মীয়-স্বজন কেউই এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি। যাদের অধিকাংশই কোন ঘেরের মালিক নয়।
ইউপি সদস্য আবিদ হাসান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমাদের এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হলেও কিছু কিছু দালাল ও চাটুকারদের কারনে আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিরা বদনামের স্বীকার হন। আমার ১নং ওয়ার্ডে হিন্দু-মুসলমান সকলের বসবাস। কিন্তু এই তালিকা প্রণয়নে ইউনিয়ন লীফ ফার্মার বিশ্বজিৎ মন্ডল তালিকা করে বিকাশে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে তার অধিকাংশই ধনাঢ্য পরিবারের এবং ঘের ব্যবসায়ী নয়। আবার অনেকে যারা মৎস্য দপ্তর বা তাদের দালাল শ্রেণি- তাদেরকে উৎকোচ বা ভাগবন্টনের মাধ্যমে তালিকা প্রণয়ন করেছে। আমরা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
ভোরের পাতা/এএম