সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে হতে ৭ম দফায় অভিযান চালিয়ে মাটির নিচ পলিথিন দিয়ে মোড়ানো প্লাস্টিকের কাভারে রকেট লাঞ্চারের ১৮টি গোলা উদ্ধার করেছে সীমান্তরী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
বুধবার (৩ মার্চ) সাতছড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তারেক মাসুদ ও ৫৫ ব্যাটালিয়নের হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল সামীউন্নবী চৌধুরী ব লেন, সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুতের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ছিমটিবিল ও সাতছড়ি সীমান্ত এলাকা বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় (২ মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল ৪টা হতে সীমান্ত হতে এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে সাতছড়ি রিজার্ভ ফরেস্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাটির নিচ থেকে পলিথিন মোড়ানো প্লাস্টিকের কাভারে রকেট লাঞ্চারের ১৮টি গোলা উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে অভিযান চলামান রয়েছে এবং বিজিবির বিশেষ টিম সন্দেহজনক স্থানগুলো ঘিরে রেখেছে বলে জানান তিনি।
পূর্বের অভিযানে যা যা উদ্ধার করা হয়েছিল
এর আগে ৬ দফা অভিযান রকেট লঞ্চার, অস্ত্র গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ভারী অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
অভিযান শুরু হয়েছিল, ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ দফায় অভিযান পরিচালনা করে করে র্যাব।
উদ্ধারকৃত ভারী অস্ত্র হল: ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ৬টি এসএলআর, একটি অটো রাইফেল, ৫টি মেশিন গানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
৪র্থ দফা, ১৬ অক্টোবর প্রথম পর্যায়ে ৩ টি মেশিনগান, ৪টি ব্যারেল, ৮টি ম্যাগজিন, ২৫০ গুলির ধারণমতা সম্পন্ন ৮টি বেল্ট ও উচ্চমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজি’র ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এসএমজি’র ২০টি, এলএমজি’র ৫টি, এসএলআর-এর ৬টি, ত্রি নট ত্রি’র ৪টি, এমএমজি ২টি, পিস্তলের ২৯টি ও জিথ্রি’র ১২টিসহ মোট ৮০টি ম্যাগজিন, ৫টি ওয়াকিটকি ও উচ্চমতা সম্পন্ন একটি রেডিও সেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফা, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে ১০টি হাই এক্সকুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।
৬ষ্ঠ দফা, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
ভোরের পাতা/এএম