কুয়েতের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস করোনা মহামারির কারণে সাদামাটাভাবেই উদযাপন হয়েছে । ছিল না উৎসবের আমেজ। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনেই উদযাপিত হয় দিনটি। অন্যান্য বছরের মতো ছিল না কোনো সমাবেশ ও আনন্দ মিছিল।
মহামারিতে ম্লান কুয়েতের ৬০তম জাতীয় ও ৩০তম স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন। প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুয়েতে উদযাপিত হয় এই দুটি দিবস।
এই দুই দিবসকে কেন্দ্র করে কুয়েতের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি বেসরকারি ভবন, সড়ক, পার্ক, শপিংমলসহ সব স্থান জাতীয় পতাকার রঙে সাজিয়ে তোলা হয়। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধের কারণে এবার ঘরে বসেই উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস।
১৯৬১ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দিবস এবং ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইরাকি আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে কুয়েত সরকার। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েতের জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।