বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ২৪ লাখ ৮৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ২২ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ১১৬ জন এবং একই সময়ে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৫২২ জনের।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ৩২৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬৪ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬০০ জন।
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৫ লাখ ১২ হাজার ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৩০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৯১ লাখ ১৪ হাজার ১৪০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু বিবেচনায় করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও মৃত্যু বিবেচনায় দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। ল্যাটিন আমেরিকার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৯ লাখ ৭ হাজার ৫৩১ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৯১ লাখ ৩৯ হাজার ২১৫ জন।
এদিকে, করোনা আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারত মৃত্যু বিবেচনায় আছে তৃতীয়তে। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৩ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯৮ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৪৮৩ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩০ জন। মারা গেছেন ৮৩ হাজার ৬৩০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৮ জন।
আক্রান্ত বিবেচনায় পঞ্চম স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ লাখ ২৬ হাজার ১৫০ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৭৫৭ জন। আর ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬২১ জন সুস্থ হয়েছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।