শিরোনাম: |
বাংলাদেশের সকল মানুষের আশার বাতিঘর শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন
সিনিয়র প্রতিবেদক
|
![]() বাংলাদেশের সকল মানুষের আশার বাতিঘর শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২২৯তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা অপু উকিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২২৭তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। আজকের সংলাপের বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী বিষয়। আজকে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন তার পিছনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার জীবন-যৌবন সব কিছু উৎসর্গ করে এই বাঙলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে গিয়েছেন। আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা, তার এই ৭৪ বছর বয়সেও প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এরপর ৩৮ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপোষহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে শুধু উপমহাদেশেই নয়, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নজর কাড়েন। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য রাজনৈতিক জোট-দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে চূড়ান্ত বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আন্দোলন-সংগ্রাম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায়ও ব্যাপক সাফল্যের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ২০২০ সাল জুড়েই সারা পৃথিবীতে মহামারি করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালিয়েছে। এর ছোবল থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। তবে চীনে করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় কাজ শুরু করেন। যার কল্যাণে বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম দেশ হিসেবে সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও অর্থনীতি চাকা থেমে থাকেনি। বরং এই খাতে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উদাহরণ দেওয়ার মতো একটি দেশে রূপান্তরিত হয়েছ। বর্তমানে এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতি ৫.৬৫%। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এই মুহূর্তে অষ্টম। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং আমি অত্যন্ত আশাবাদী এই মুজিব শতবর্ষে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন অতিক্রম করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। গত তিন মাসে আমরা সৌদি আরব থেকে ৫১ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স পেয়েছি। আজকে আমাদের দেশে কৃষির এক অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছি। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ৪০.৬% অবদান রাখে এই কৃষি খাত। আমাদের দেশে এখন শিশু শিক্ষার হার শতভাগে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্র্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মমতাময়ী মা শেখ হাসিনার জন্যই দেশের সকল উন্নয়ন আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে যার প্রতিটি স্বপ্ন বাঙালি জাতিকে দেখিয়ে গিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |