শিরোনাম: |
বিদেশে জমি কিনে চাষাবাদ করবে বাংলাদেশ
ভোরের পাতা ডেস্ক
|
![]() বিদেশে জমি কিনে চাষাবাদ করবে বাংলাদেশ ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে 'কন্ট্রাক্ট ফার্মিং অ্যান্ড জব অপরচুনিটি ফর বাংলাদেশ অ্যাব্রোড' বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে বিদেশে জমি কিনে চাষাবাদ বা কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আফ্রিকার সুদানেরও দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, বিদেশে বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে জমি কিনে চাষাবাদ করতে পারলে এটি খাদ্য নিরাপত্তায় যেমন ভূমিকা রাখবে তেমনি বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ আরও বলেন, সরকার উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন দেশে কৃষি জমি কিনবে এবং পরে বাংলাদেশ থেকেই শ্রমিকরা গিয়ে সেখানে কাজ করবে ও ফসল ফলাবে। তিনি বলেন, সরকার সরাসরি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও জমি ক্রয় করতে পারে। আর এ জন্য আফ্রিকার দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ তাদের প্রচুর কৃষিজমি অনাবাদী পড়ে আছে। দেশগুলোতে অভাবও অনেক। সুতরাং আমরা জমি নিয়ে চাষাবাদ করলে তারাও কম মূল্যে কিনতে পারবে আবার আমাদেরও কর্মসংস্থান হলো। আবার সেখানকার উৎপাদিত ফসল প্রয়োজনমতো বাংলাদেশেও আনা যাবে। তিনি বলেন, এর আগে ২০১০ সালে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে এবং একটি টিম বিভিন্ন দেশ সফরও করেছিল। কিন্তু পরে আর তা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এদিকে ২০১২ সালে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নিজের সফরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশটি বাংলাদেশের চেয়ে সাড়ে ৫ গুণ বড়, কিন্তু ফসল ফলে না এবং যুদ্ধের কারণে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে তারা। তিনি বলেন, সেখানে আমাদের দেশের মতো বৃষ্টি হয় ও মাটি উর্বর। আমি সেখানকার প্রেসিডেন্টকে বলেছিলাম আপনার জমি আমাদের দিন, আমরা কৃষক আনবো যারা এখানে ফসল ফলাবে। জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন দশ হাজার লোকের জন্য জমি বর্গা দিতে রাজি আছেন তারা। কিন্তু তারপর আর বিষয়টি এগোয়নি। ১০ বছর আগে তানজানিয়ায় শুরু করেছে বাংলাদেশি একটি সংস্থা। কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকারি উদ্যোগে না হলেও বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশিরা ইতোমধ্যেই আফ্রিকার নানা দেশে কাজ শুরু করেছেন। বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান, ভুট্টা ও ডালের আবাদ শুরু করে ২০১১ সালে। সূত্র: বিবিসি ভোরের পাতা/কেএম
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |