শিরোনাম: |
যেসব পণ্যকে নিত্যসঙ্গী করেছে করোনা
ভোরের পাতা ডেস্ক
|
![]() করোনা আসার আগেও মানুষ স্বাস্থ্য সম্পর্কে এতোটা সচেতন বা সতর্ক ছিল না। তবে এদিক থেকে একটা ভালো দিক হলো করোনা মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে শিখিয়েছে। সে কারণেই মানুষ আগে যেসব জিনিসগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতো না এখন সেসব জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের নিত্যসঙ্গী। মানুষ এসব জিনিস ছাড়া এখন ঘরের বাইরে যাওয়ার চিন্তা করে না। চলুন দেখে নেওয়া যায় করোনা করোনা ভাইরাস যে জিনিসগুলোকে সবার নিত্যসঙ্গী করেছে- মাস্ক: দেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণের পর থেকে সবচেয়ে যে জিনিসটি মানুষের কাছে বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে সেটি হল মাস্ক। এর আগে বাংলাদেশে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকলেও মানুষকে এতো মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। করোনা আসার পর মানুষ বেশি মাস্ক ব্যবহার করেছেন; আর সে কারণে মাস্কের বিক্রি বেড়েছে। সেই সঙ্গে দামও বেড়েছে দিগুণ। হ্যান্ড স্যানিটাইজার: বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রণের আগে হ্যান্ড সানিটাইজের এতোটা প্রচলন ছিল না। কয়েক ফোটা তরল হাতে মাখলে যে হাত জীবাণুমুক্ত হয় এটিই হয়তো অনেকে জানত না। করোনা থেকে বাঁচতে হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন অনেকে। পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট): পিপিই বা পারসোনা প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট এ নামটি হয়তো করোনা আসার আগে অনেকেই জানতেন না। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্য সেবা দান কর্মীদের এ সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার এখন বাধ্যতামূলক। এর বাইরেরও অনেকে করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পিপিই ব্যবহার করছেন। তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র: জ্বর হলে থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হয়। এছাড়া হাসপাতালেও থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর থেকে এখন বাড়ির বাইরে বের হয়ে কোথাও গেলেই আগে দাঁড়াতে হয় এ তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রের সামনে। এটি দেখতে বাড়ির ছোট থার্মোমিটারের মতো না। এটি দেখতে নানা ধরনের। পালস অক্সিমিটার: হৃৎস্পন্দন ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মাপার এ যন্ত্রটি হচ্ছে পালস অক্সিমিটার। ছোট্ট এ যন্ত্রটি ব্যবহার করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। এটির ভেতরে হাতের আঙ্গুলে রাখলে উপরের ডিসপ্লেতে ভেসে ওঠে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা এবং হৃৎস্পন্দন কত। করোনায় কারো শ্বাসকষ্ট হলে এই যন্ত্র ব্যবহার করে নিজেরাই সহজে মেপে নেওয়া যায় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |