তার চলে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। ঘড়ির কাটায় তা মাত্র কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু তারপরেও তিনি থেমে নেই তার ক্ষমতা প্রদর্শনে। তাইতো বিদায়ের আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আরও একবার চীন এবং তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে অসদাচরণের অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার রাতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও নয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপ করা হয়েছে বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী সপ্তাহে শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক এই পদক্ষেপের কারণে এশিয়ায় ওয়াশিংটনের কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বি চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বাড়বে।ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি বাইডেনের ট্রানজিশন টিম।দক্ষিণ চীন সমুদ্র নিয়ে বেইজিংয়ের দাবি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ করায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির নির্বাহী, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি এবং সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও তেল কোম্পানি সিএনওওসি ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে। এছাড়া চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে নয়টি চীনা কোম্পানি পেন্টাগনের তালিকাভুক্ত হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বিমান প্রস্তুতকারক কোমাক এবং ফোন প্রস্তুতকারক শাওমি কর্পোরেশন।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপের জবাবে চীনা দূতাবাস বলেছে ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ইসুতে রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক ট্যাগ দিচ্ছে আর নিজেদের বর্ণিত জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর ওপর নিপীড়ন চালাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। রুডির উপর ক্ষেপেছেন : ভিন্ন রকমের এক ইতিহাস গড়ে আবারও অভিশংসিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে তাকে অভিশংসন করা হয়েছে। শেষ সময়ে হোয়াইট হাউসে অনেকটা ‘নিঃসঙ্গ’ সময় কাটছে তার। এমন পরিস্থিতিতে কাছের অনেকের প্রতি তো বটেই প্রেসিডেন্ট এখন বেশ খেপে আছেন তার আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির ওপরও। নির্বাচনে পরাজয়ের পর নানা কান্ডে গন্ডগোল বাধানো ট্রাম্পের আইনি জটিলতা মোকাবিলায় বিশ্বস্ত নাম হয়ে ওঠে রুডি। সব ধরনের মামলায় মূল কারিগর হয়ে ওঠেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে এসে তালগোল পাকিয়ে যায়। ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতা, এরপর অভিশংসনের পথে এগোয় ট্রাম্পের ভাগ্য।সিএনএন বলছে, ক্যাপিটলে সহিংসতা আর অভিশংসনের পর দাপুটে আইনজীবী ও নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডির ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তার পাওনা অর্থ পরিশোধ না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ে রুডির ফোন আসলেও তা রিসিভ করা হচ্ছে না। কর্মীদের দেওয়া নির্দেশনার প্রতি প্রেসিডেন্ট ‘সিরিয়াস’ কিনা তা নিয়ে অবশ্য সংশয় প্রকাশ করেছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আইনগত সেবার জন্য রুডি জুলিয়ানি দিনে ২০ হাজার ডলার নিচ্ছেন বলে যখনই খবর পান ট্রাম্প, তখনই তিনি খেপে যান। অথচ এমন আইনগত ফি দেওয়ার কথা নাকি লিখিত চুক্তিতেও আছে।ট্রাম্পের প্রচারণা বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জেসন মিলার আইনজীবী রুডির পাওনা না দেওয়ার নির্দেশনার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘দেশের সেবায় নিযুক্ত রুডি একজন দেশপ্রেমিক ও মহান ব্যক্তি। মেয়র রুডিকে আমরা সবাই ভালোবাসি।’