শিরোনাম: |
যে কৌশলে একাধিক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতো দিহান!
ভোরের পাতা ডেস্ক
|
![]() যে কৌশলে একাধিক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতো দিহান! সবশেষে রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও দিহানের পরিচিতদের সূত্রে জানা গেছে, আনুশকার আগেও একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো দিহানের। বাবার অর্থবিত্ত, দামি গাড়ি উপহারসামগ্রী দিয়ে মেয়েদের প্রভাবিত করতো দিহান। তাই বাসা ফাঁকা থাকলেই বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আসতেন দিহান। তার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলাবাগানে দিহানের বাসার কেয়ারটেকার মোতালেব এমন তথ্য জানান। তবে তিনি বলেন, বাসা ফাঁকা থাকলে মাঝে মধ্যে দিহান বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে বাসায় আসলেও হত্যা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে তা তিনি ধারণাও করতে পারেননি। আনুশকা নূর আমিন যেদিন হত্যার শিকার হয় সেদিন মোতালেবের পরিবর্তে কেয়ারটেকার দুলাল দায়িত্ব পালন করছিলেন। দিহানের বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রউফ সরকার। তিন সন্তানের মধ্যে দিহান সবার ছোট। পরিবারের একটু বেশি আদর পেতেন দিহান। যে কারণেই দিন দিন তার বখাটেপনা বেড়েছে। দিহানের বড় ভাই সুপ্তর বিরুদ্ধেও স্ত্রী হত্যার অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, গেলো ৭ জানুয়ারি সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় আনুশকার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |