শিরোনাম: |
বুয়েটের আবরারের মতোই ছাত্রলীগের আঘাতে ঢামেকে রক্তাক্ত আলী ইমাম
সিনিয়র প্রতিবেদক
|
![]() বুয়েটের আবরারের মতোই ছাত্রলীগের আঘাতে ঢামেকে রক্তাক্ত আলী ইমাম তবে ছাত্রলীগের আদর্শিক নেতাকর্মীরা ভোরের পাতাকে বলেছেন, আর কোনো আবরারের ঘটনা দেখতে চান না তারা। সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাস শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি হলে রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির প্রত্যক্ষ মদদে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এ এস এম আলী ইমাম (৭২ ব্যাচ) কে পিটিয়ে আহত করা হয়। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে একই ব্যাচের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ (কে-৭২), ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারিণ সম্পাদক ডা.শাহরিয়ার খান (কে-৭২), ডা. ইশমাম আহমেদ (কে-৭২)। এছাড়া মাথায় উপর্যুপরি লাথি দিয়ে আঘাত করে ফয়সাল ইরতিজা (কে-৭৩)। মাথায় আঘাত করায় ঘটনাস্থলেই ৩ বার বমি করে ফেলেন ডা. এ এস এম আলী ইমাম। এছাড়া লাঠিসোঁটা নিয়ে আঘাত করে ডা. সৈয়দ হাসান ইভেন (কে-৭২), ডা. শেখ সোহেল (কে-৭২), ডা. ইবরাহীম হাওলাদার (কে-৭২), ডা. তানভীর আহমেদ আকাশ (কে-৭২)। পুরো ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের (টিভি রুমের) দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে পাহাড়া দেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. আল আমিন। এতে বাম পা ভেংগে যায় ডা. এ এস এম আলী ইমামের। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ডা. এ এস এম আলী ইমামের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি প্রদান করার পর থেকে পূর্বের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে বিভিন্ন সময় অনেককে আঘাত করা হয়েছে, অনেককে হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর তারিখে কে-৭৬ ব্যাচের ছাত্র রাকিব সায়মন কে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে হল থেকে বের করে দেয়া হয়, একই রাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে হল ছাড়েন মুবতাসিম বিন আরাফাত অর্ণব কে-৭৬ ও যোবায়ের যাদিদ কে-৭৬।এই ঘটনার সাথে ৭৩ ব্যাচের ছাত্র উল্লাস,জিলানী এবং ৭৬ ব্যাচের সুমন। গত ৬ জানুয়ারি তারিখে কে-৭২ ব্যাচের ডা. সামসাদ সারওয়ার সামিন কে পিটিয়ে বের করে দেয়া হয়। এছাড়া গত ১২ জানুয়ারি তারিখে হলে ডেকে নিয়ে এসে পিটিয়ে বের করে দেয়া হয় কে-৭২ ব্যাচের ডা. ওমর ফারুক শাওন এবং ডা. সিফাত কে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন অনুষদ কর্তৃক প্রফেশনাল পরীক্ষার সময় নির্ধারিত হওয়ার পর অনেক কেই হুমকি দেয়া হয়, যে পরীক্ষার হলে পৌছাতে দেয়া হবে না, তার আগেই পিটিয়ে বের করে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের পূর্বতন ছাত্রলীগে বিভিন্ন পদে দায়িত্বপালন করেন। ক্ষমতার পালাবদলে আজ তারা ছাত্রলীগেরই নির্যাতনের শিকার। এ বিষয়ে ডা. এ এস এম আলী ইমাম বলেন, " ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হওয়ার এটাই যদি পুরষ্কার হয়,তবে জননেত্রী শেখ হাসিনাই শেষ আশ্রয়স্থল।" এ বিষয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
|
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |