এদিন দুদকের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন অবন্তিকাকে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল রিমান্ডের জোর দাবি জানান। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করে।
সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে।
এর আগে অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমণ্ডির ফ্ল্যাটে একটি নোটিশ পাঠায়। ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল ওই নোটিশে।
তবে দুদকের চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে অবহিত করেননি তিনি। এর দুই সপ্তাহ পর অবন্তিকাকে গ্রেফতার করা হলো।
পদ-পদবি ব্যবহার করে প্রশান্ত কুমার অন্তত ৫০০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজে একা নন, মা, স্ত্রী, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং স্বজনদেরও এই দুর্নীতির সহযোগী করেছেন।
পিকে হালদারের সুখাদা লিমিটেড নামের যে প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার ও সুস্মিতা সাহা ও এপিকে নামে বিনিয়োগ রয়েছে।