প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২১, ১২:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ান দুলালকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার দিনের যে বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তার সঙ্গে দিহানের দেয়া বর্ণনার অনেকটাই মিল পাওয়া গেছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে কলাবাগানের ডলফিন রোড থেকে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে দারোয়ান দুলাল পলাতক থাকলেও পুলিশ বলছে, নজরদারির মধ্যেই ছিলেন তিনি।
হেফাজতে নেওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল ঘটনার দিনের যে বর্ণনা দিয়েছেন, এর সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনার অনেকটাই মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দারোয়ান দুলাল জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা অথবা সাড়ে ১১টার দিকে একজন মেয়ে আসে পান্থনিবাস-২ অ্যাপার্টমেন্টে। দিহান দোতালার ডি-২ ফ্ল্যাট থেকে নিজেই নেমে এসে ওই মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। তবে ওই মেয়ে প্রবেশের বিষয়ে তিনি রেজিস্ট্রার বইয়ে কোনো তথ্য লেখেননি বলে জানান দুলাল।
দুলাল আরো জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুপুর ১টা অথবা সোয়া ১টার দিকে দিহান ওই মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে আনেন। গ্রাউন্ড ফ্লোরে পার্কিংয়ে থাকা গাড়ির পিছনের সিটে তোলেন। এরপর দিহান নিজেই গাড়ি চালিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হয়ে যান। এরপর ওই মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ভয় পেয়ে যান। এ কারণে তিনি ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পালিয়ে যান।
ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নজরদারিতে ছিলেন ওই বাসার দারোয়ান দুলাল। ঘটনার যথার্থতা যাচাইয়ে তার প্রয়োজন বোধ করায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনা মিলিয়ে দেখা হবে। যেহেতু দারোয়ান এজাহারভুক্ত আসামি নন, তাই তাকে আটক রাখা হবে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে যদি মনে হয় ছেড়ে দেওয়া উচিত, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হবে।’