বিশ্ববাসীর কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন শেখ হাসিনা: নির্মল রঞ্জন গুহ
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:১৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। যার প্রভাব এড়াতে পারেনি বাংলাদেশও। সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মঘণ্টা ভুলে শক্ত হাতে একাই সামলে নিচ্ছেন সবকিছু। বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। করোনার মধ্যেও থেমে নেই মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ। দেশের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে। অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ২১৬তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। সোমবার (১১ জানুয়ারি) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সামরিক গবেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, এফবিসিসিআই সহ- সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা। দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সরকার ইতোমধ্যেই যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি দলীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এর অংশ হিসাবে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি, বিনামূল্যে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবানসহ করোনা প্রতিরোধমূলক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি আমরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারকে সহযোগিতা করতে জনসচেতনতা তৈরিতে বিভিন্ন কাজ করেছি আমরা। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই নয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বন্যা পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করছেন। আবার অর্থনীতির চাকাও সচল রেখেছেন। গণভবন থেকে সবকিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন। কিছু দোষত্রুটি ও অন্যায় হলে সেখানেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তিনি। শুধু করোনা, আম্ফান, বন্যাই নয়, এবারের ঈদযাত্রাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাফল্যজনকভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অর্থনীতির সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আমরা গর্ব করে বলি আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নিজে হাতে গড়া সংগঠন। যেহেতু সেবা আমাদের দলের মূল নীতি, তাই সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করি আমরা। তাই আমি সব সময় শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করি। ২১ বছর লড়াই সংগ্রাম করে আমাদের নেত্রী ১৯৯৬ সালের জনগণের ব্যাপক ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রীয়ও ক্ষমতায় আসেন। যখন তিনি ক্ষমতায় আসলেন তখন তিনি বলেছিলেন আমি জনগণের শাসক নয়, সেবক হিসেবে কাজ করতে চায়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের তিনি যখন আবার ক্ষমতায় আসলেন এর পরে আমাদের এক যুগ পূর্ণ হলো। এই সময়কালের আপনারা লক্ষ করলে দেখতে পারবেন যে তিনি সব সময় সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে তাঁর জাদুকরী
নেতৃত্বে। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে।