ডিজিটাল ইকোনমি অভিসন্ধির অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ: সাজ্জাদ আলম খান তপু
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ডিজিটাল ইকোনমি অভিসন্ধির অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ: সাজ্জাদ আলম খান তপু
শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এর প্রতিটি ক্ষণ যেন ধ্বংস আর সৃষ্টি ইতিহাসের একেকটি পাণ্ডুলিপি। ১৯৭১ সালে আগুনের লেলিহান শিখায় যখন গোটা পূর্ব পাকিস্তান পুড়ে পুড়ে ছাই হচ্ছে, ঠিক তখনই নতুনের কেতন উড়িয়ে বাংলাদেশ নামের একটি ভূ-খণ্ড জন্ম নিচ্ছে। বিশেষ করে ’৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রতিমুহূর্ত যেন ‘বাংলাদেশ’ সৃষ্টির কথা বলে। এতো তিক্ত স্মৃতির দেশে আর কোন তিক্ততার স্বাদ যাতে না পায় এই সোনার বাংলার মানুষেরা। বিজয়ের এই মাসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৭৬ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, শুরুতেই বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। আজকে আমি আলোচনার শুরুটা অন্য জায়গা থেকে করতে চাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে যে চতুর্থ বিপ্লবের পদধ্বনি শুরু হচ্ছে তাতে বাংলাদেশ কিন্তু সম্পৃক্ত হয়েছিল। আমরা যে ডিজিটাল অর্থনীতি বা ডিজিটাল মানির যে স্বপ্ন দেখি তারও কিন্তু খানিকটা অগ্রগতি ঘটিয়েছিলেন ড. আতিউর রহমান। যে কারণে আমাদের মোবাইল মানি ট্রান্সফার বলেন, কোথায় দিব, কাকে দিব, কিভাবে দিব এবং সর্বোপরি সাধারণের মাঝে সঞ্চয়ের যে প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। আজ আমাদের ডিজিটাল ইকোনমির যাত্রা শুরু হয়েছে। কিন্তু একটা সময় আমরা জানতাম সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশের এই অঞ্চলে প্রবেশ করবে কি করবে না। সেটি নিয়েও একধরণের অভিসন্ধি ঘটেছিল। আজকে বাংলাদেশে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমটি হয়েছে, দ্বিতীয়টি হয়েছে, এখন তৃতীয়টি হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ হয়েছে দ্বিতীয়টিও হয়তো হবে। এবং এই সময় আমরা দেখছি প্রযুক্তির সাথে আমাদের সম্পৃক্তকরণ এবং স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তির বিস্তার গঠানোর জন্য যে নীতি কাঠামো রয়েছে বিশেষত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে উত্তরণ হয়েছে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন, অনলাইন টেন্ডারিং, অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং, ইউটিলিটি বিল-সহ প্রায় সব সরকারি সেবার বিল অনলাইনে প্রদানের মাধ্যমে সরকারি লেনদেন অনলাইনেই পরিশোধ করা হচ্ছে। ডিজিটাল ইকোনমির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিফলনের অন্যতম উদাহরণ বাংলাদেশ। আগামী দিনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় এই ডিজিটাল ইকোনমির সর্বোকৃষ্ট উদাহরণ হবে।