শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, সাহসিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে গেছে: ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
সিনিয়র প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, সাহসিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে গেছে: ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। শোষণ বৈষম্যর অবসান ঘটিয়ে প্রত্যেক মানুষকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা। সেই স্বপ্নকে আজ অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করেছে জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। অফুরন্ত সম্ভাবনার অপর নাম বাংলাদেশ। এ দেশের রয়েছে অমিত সম্ভাবনাময় ষোল কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাত। ষোল কোটি মানুষ বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ। কেননা আবহমানকাল থেকেই এ দেশের মানুষেরা কর্মনিষ্ঠ, পরিশ্রমী। অচিরেই এ দেশ পরিণত হবে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পোশাক, জুতা, ওষুধ, সিরামিক ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিকারক দেশে। বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের সাফল্যের জন্য গর্ব করতে পারে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৩৭ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। শনিবার (২৪ অক্টোবর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কবি, লেখক, ডয়েচে ভেলে সাংবাদিক, জার্মানি এবং ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক প্রাপ্ত নাজমুন নেসা পিয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আমি প্রথমেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী যার জন্ম না হলে দেশে স্বাধীনতা আসতো না, বাঙ্গালী জাতির ধারক ও বাহক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করছি। আজকে দেখেন একসময় এই বাংলাদেশটাকে একসময় পশ্চিমা বিশ্ব উপহাস করতো দুর্ভিক্ষের দেশ, অবহেলিতর দেশ, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলতো। সেই দেশ আজ জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, সুদক্ষ, সৃজনশীল নেতৃত্বের কারণে সেই বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি মাইনাসে আছে সেখানে আমাদের ৮ দশমিক ১.৫% জিডিপি, আজকে এই মুহূর্তে মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার, যার কারণে আজকে প্রায় ১০০% ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আজকে শিক্ষার হার প্রায় ৭৫%, শিশু শিক্ষার হার প্রায় ১০০%। আজ থকে ১২ বছর আগে বিদ্যুৎ এর উৎপাদন ছিল ৩৫০০ মেগাওয়াট যা এখন ২৬০০০ মেগাওয়াটে রুপান্তরিত হয়েছে। আজ এই করোনাকালীন সময়ে দেশে ২ লক্ষ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে, আজকের এই বাংলাদেশে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের ব্যাপক প্রসার হয়েছে। এই সবকিছুর নেপথ্যের নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে সংগ্রাম, কষ্ট, ত্যাগ, তিতিক্ষা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশটাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অবস্থায় দাড় করিয়েছে তার এই গুণাবলিগুলোকে বলে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু দেখুন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানদের জীবনাচরণ দেখলেই বুঝতে পারবেন তারা সবকিছুতেই পাকিস্তানি ভাবধারা বজায় রাখে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর বাঙালির মুক্তির জন্য জেল খেটেছেন। শুধু বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এই করোনাকালে আমাদের সাহসের প্রতীক হিসাবে সামনে এসে হাজির হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সকল মানুষকে উজ্জীবিত করে রেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা বাংলাদেশের রুপকল্প ২০২১ ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল, সমুদ্রসীমা সমস্যার সমাধানও হয়েছে এই সরকারের আমলে। ব্লু ইকনোমিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছে এই সমুদ্রসীমা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।