ফারজানা ছবি বলেন, আমি মার্চ মাসের ১৪ তারিখ থেকে পুরোপুরি বাসায় রয়েছি। আমি একদিনের জন্যও বাসায় থেকে বের হইনি। আমি যে বাসায় থাকি, সেখানে পাশের ফ্লাটের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি পুরোপুরিভাবে বের হইনি কারণ, পরিবারে শিশু ও বয়স্ক মানুষ আছে। আমি চাইনি, আমার অসচেতনার জন্য পরিবারের কেউ আক্রান্ত হোক। ইতিমধ্যেই আমি ঘরে থেকে একটা ধারাবাহিকের শুটিং করেছি। গত এক মাস ধরে আবারো শুটিং শুরু হয়েছে। এখানে অনেক লোকের সমাগম হচ্ছে। অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে শিল্পীরা মাস্ক পরিধান করছেন, কিন্তু আমাদের দেশে তা মানা হচ্ছে। তাই শুটিং করতে গিয়ে শিল্পীরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, শিল্পী এবং পারফরমার এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমারে অনেকেই পারফরমার হয়েই শিল্পী ভাবতে শুরু করি। এখন একটা মোবাইল থাকলেই ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে দিলেই শিল্পী হওয়া যায় না। শিল্পী হতে হলে তৈরি হতে হয়। অনেক মেধা, শ্রম ও ঘাম থাকতে হয়। করোনার এই সময় অনেকেই টিকটিক করে হঠাৎ করেই ভিডিও বানিয়ে খুব জনপ্রিয় হলো, তারপর আবার হারিয়েও যাচ্ছে। কিন্তু শিল্পীরা হারিয়ে যায় না। আমি শিল্পী হিসাবে ধৈর্য্য রেখেই প চলছি এবং এখনো শিখছি। আরেকটা ব্যাপার এই সময়ে শিখেছি, আমার নানুর বয়স প্রায় একশ। তিনি আমার বাসায়ই আছেন। তাকে দেখে ব্যস্ত সময়ে কোনোদিন হাসেনি। কিন্তু এখন পরিবারের সবাইকে পেয়ে হাসতে শিখেছেন তিনি। ঘরে থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে।