প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
কারামুক্তির পর হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ছবি : সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব।
উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগারে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতক্ষীরাসহ তালা-কলারোয়া এলাকার সহস্রাধিক নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানানোর জন্য কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় জমান। মিছিল-স্লোগানসহকারে বিএনপি নেতা হাবিবকে নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল তাকে স্বাগত জানান। পরে সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কুশলাদি বিনিময় করেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পর ধানমন্ডির বাসভবনে চলে যান। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টাসহ সাতক্ষীরা জেলা, তালা ও কলারোয়ার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পৃথক তিনটি জামিননামা সম্পাদন করেন সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ কারাগারে থাকা ৪৬ বিএনপির সব নেতাকর্মীর জামিন দেওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি চার্জশিট দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা প্রদান করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ইতোমধ্যে এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চার বিএনপি নেতাকর্মী কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৬ বিএনপি নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১নং বেঞ্চ থেকে তিনিসহ সব নেতাকর্মীর জামিন দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশের কপি সাতক্ষীরায় আসার পর বিএনপি নেতা হাবিবের তিনিটি মামলার জামিননামা সম্পাদন করার পর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি কারামুক্ত হন।